This is default featured slide 1 title

Bangladesh is in my heart.Bangladesh Independent day 26th March 1971,victory day 16th Dec 1971

This is default featured slide 2 title

I want to write but I can't, I don't know what happened with me but I understand that if I want I can.

This is default featured slide 3 title

This is an empty page. My life is also like this without you. Love you more then I can say. Love you more then I want. Missing you Bangladesh.

This is default featured slide 4 title

Sometimes I read your old message and I cried for you. Sometimes I played with memories and I cried againe. Sometimes I see your photo and remember our memeories which also cried me a lot.

This is default featured slide 5 title

I wrote some stories for you. I know that when you read it you will surely cry because it was taken from our love story. One question for you how could you do this? May I know how do you pass your time without me?

Saturday 30 July 2016

বনের রাজা বাঘ মহাশয় দিলেন সভার ডাক সেই সভাতে পশু-পাখি আসল ঝাঁকে ঝাঁক।

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

বনের রাজা বাঘ মহাশয় দিলেন সভার ডাক

সেই সভাতে পশু-পাখি আসল ঝাঁকে ঝাঁক।
মনে বেজায় দুঃখ নিয়ে দিলেন রাজা ভাষণ
রামপালেরই জন্য তাকে ছাড়তে হবে আসন!
এই বনেরই পশু-পাখি কেউ নিরাপদ নয়
তাদের টিকে থাকা নিয়েই রাজার মনে ভয়!
বনটা বুঝি উজাড় হলো মানব জাতির জন্য
তাদের স্বার্থে পশু-পাখি সব হবে বিপন্ন!
বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকবে তারা সুখে
সুন্দরবন রক্ষা করতে দাঁড়াবে কেউ রুখে?
ভাষণ শুনে সবার মাথায় পড়ল যেন বাজ 
পশু সমাজ ধ্বংস করা কেমন তরো কাজ?
এই বনেতে পশু-পাখি সবাই ছিল সঙ্গী
তাদের কেন মরতে হবে তারা কি আর জঙ্গি?
(লেখিকা জাপানের কানাগাওয়া কেনপ্রবাসী)

আসুন, জেনে নিই কি আছে রামপাল চুক্তিতে. I love my country? Do you?

আসুন, জেনে নিই কি আছে রামপাল চুক্তিতে :
১. রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রাথমিকভাবে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০১ কোটি ডলার।
• এই অর্থের ৭০ শতাংশ ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে (এই ৭০ ভাগ ঋণের সুদ টানা এবং ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব বাংলাদেশের এবং সুদের হারও অজানা। এবং ধারণা করে নেওয়া যেতে পারে সেই সুদের হারের অঙ্কটাও তুলনামুলকভাবে কম হবে না)!
• বাকী ৩০ ভাগের ১৫ শতাংশ অর্থ দেবে বাংলাদেশের সরকারী কোম্পানি পিডিবি এবং বাকি ১৫ শতাংশ দেবে ভারতের কোম্পানি এনটিপিসি। অর্থ্যাৎ,
৮৫ শতাংশ বিনিয়োগ বাংলাদেশের আর মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ ভারতের।
এই প্রকল্পের জন্য পুরো জমি, অবকাঠামোগত ও আনুষঙ্গিক সবকিছু সরবরাহ করবে বাংলাদেশ। অথচ শেষ বিচারে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিকানা আর নিট মুনাফার ভাগীদার হবে মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়গকারী গোষ্ঠী (ভারত)! কেননা চুক্তি অনুযায়ী এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পিডিবি কিনবে এনটিপিসির কাছ থেকে। আর যে নিট লাভ হবে সেটা ৫০ শতাংশ হারে পিডিবি ও এনটিপিসির (অথচ তাদের বিনিয়োগ মাত্র ১৫ শতাংশ) মধ্যে ভাগ হবে!!!
মগের মুল্লুক বলে কথা!!
২. এবার আসা যাক উৎপাদিত বিদ্যুতের ক্রয়মূল্য প্রসঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী কয়লার ক্রয়মূল্যকে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসাব অনুযায়ী ইতিমধ্যেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকারি পর্যায়ে ১৪৫ ডলার মূল্যে কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় পিডিবি তথা সরকারকে দেশের জনগণের জন্যে প্রতি ইউনিট ৮ দশমিক ৮৫ টাকা মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে হবে।
অথচ পিডিবির সঙ্গে দেশীয় ওরিয়ন গ্রুপের যে ক্রয় চুক্তি হয়েছে তাতে এই কোম্পানির মাওয়ায় প্রতিষ্ঠিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা মূল্যে এবং খুলনার লবণচরা ও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রতিষ্ঠিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট ৩ দশমিক ৮০ টাকা মূল্যে বিদ্যুৎ কেনা হবে!!!
পরিবেশগত ক্ষতির কথা বাদ দিয়ে যদি ধরেও নেই যে পরিবেশীয় ক্ষতির পরিমাণ কম, সেক্ষেত্রে এই বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির বোঝা কে বইবে?
এই বিপুল অঙ্কের অর্থ ঋণের সুদ আর উৎপাদিত বিদ্যুতের উচ্চমূল্য বইতে যে ভবিষ্যতে জনগণের উপর নিত্যনতুন করের খড়গ নেমে আসবে তাতে সন্দেহ নেই।
সবশেষে, দুটি প্রশ্ন। উত্তর চাই।
প্রশ্ন ১:
মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারী মালিক বনে যায় কিভাবে? মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে নিট লাভেরঅর্ধেক কিভাবে ভারত নিয়ে যায়?
তদুপরি, চুক্তি অনুযায়ী কয়লা আমদানির দায়িত্ব বাংলাদেশের এবং ক্ষয়ক্ষতির দায় বহন করতে হবে কিন্তু বাংলাদেশেরই!! বিনিয়োগ ৪ আনা কিন্তু লাভের ভাগ ১৬ আনা তাদের জন্যে নির্ধারণ হয় কিভাবে?
প্রশ্ন ২ :
দেশীয় কোম্পানি যেখানে যথাক্রমে ৩ টাকা ৮০ পয়সা আর ৪ টাকা দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। সেখানে কেন একই ধরণের প্রযুক্তি ব্যাবহার করা আমাদের দেশের বাইরের একটি কোম্পানি থেকে দিগুণেরও বেশী দরে (৮ টাকা ৮৫ পয়সা) বিদ্যুৎ কিনতে হবে?
এই লাভের গুঁড় কে খাবে?
বন্ধুত্বের খাতিরে এত দেশপ্রেমের(!) বোঝা কে বইবে?
আমি এই সহজ হিসেবটা মেলাতে পারছি না। আপনারা কেউ পারলে মিলিয়ে দিয়ে যাবেন। ধন্যবাদ